আকাশ দেখতে নীল কেন?
বিজ্ঞান চিন্তা
আকাশের রং নীল কেন?
বন্ধুরা আমরা সবাই জানি সূর্যের আলো হচ্ছে সাদা। আবার এই সাদা আলোতে লুকিয়ে রয়েছে সাতটি ভিন্ন ভিন্ন রং। যে রং গুলো কে আমরা বেনিআসহকলা নামে জানি। ছোট বেলা থেকেই কিন্তু অামি কৌতুহল প্রিয় ছিলাম। এক পলাশ বৃষ্টির পরে যখন সূর্য পশ্চিমে থাকে তখন কিন্তু পূর্বদিকে খুব সুন্দর করে রংধনু দেখা যায়। আর আমি কি করতাম জানেন, লাফাতাম এবং সবাইকে রংধনু দেখার জন্য ডাকতাম। যারা আমার মতো কৌতুহল প্রিয় ছিল তারা ঠিকই আমার ডাকে সাড়া দিয়ে আমার নিকট ছুটে আসত, আমার কাঁধে হাত দিয়ে তাদের চোখ জোড়ার দৃষ্টি আকাশের দিকে নিক্ষেপ করত। আমার খুব ভালো লাগত। কিন্তু কিছুক্ষণ পরে খুব কষ্ঠ লাগত,যখন দেখি, কখন যে চোখকে ফাঁকি দিয়ে রংধনুটি গায়েপ হয়ে গেছে। পরে মনমরা হয়ে চলে অাসতাম, কিছুই করার নেই। এরপর আবার হৈ-হুলোড় করে অন্য খেলাই মেতে উঠতাম। এতক্ষন শুধু আমার কাহিনি টা পড়ে গেলেন। কিন্তু আসল ঘটনাটা কোথায়? আজকের আলোচ্য ঘটনা হচ্ছে, আকাশ নীল কেন? আপনারা কি কখনো ভেবে দেখেছেন? আকাশ দেখতে নীল কেন? আমরা আগেই বলেছি সূর্যের আলোতে ৭টি ভিন্ন ভিন্ন রং থাকে [বেগুনি, নীল,আসমানি,সবুজ,হলুদ,কমলা ও লাল।] এই রং গুলোর আবার ভিন্ন ভিন্ন তরঙ্গ দৈর্ঘ্য আছে। তরঙ্গ দৈর্ঘ্য কি সেটা আপতত না জানলেই চলেবে। তো এই সূর্যের আলো যখন পৃথিবীতে আসে তখন সেই আলো বায়ুমন্ডলের সূক্ষ্ম, ছোট ছোট ধূলিকণা এবং বিভিন্ন গ্যাস অনুতে পড়ে,যাকে আমরা পদার্থবিজ্ঞানের ভাষায় আপতিত হওয়া বলি। আপতিত হওয়ার পর আবার সেই আলো ধাক্কা খেয়ে চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে বা বিচ্ছুরিত হয়। বিচ্ছুরণের সময় যে আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য যত বেশি সে আলো সবচেয়ে বেশি বিচ্ছুরিত হওয়ার কথা। কিন্তু বায়ুমন্ডলের ওজোনস্ফিয়ার অঞ্চল সূর্যের বেগুনি আলোর বেশিরভাগ অংশ শোষণ করে নেয়। বেগুনি আলো বাদ দিলে সবচেয়ে কম তরঙ্গদৈর্ঘ্যের আলো হল -নীল। ফলে বায়ুমন্ডলে নীল আলোই সবচেয়ে বেশি বিচ্ছুরিত হয়। তাই দিনের বেলায় আমরা আকাশকে নীল দেখি।
পরবর্তী পোস্ট পেতে লাইক, কমেন্ট এবং শেয়ার করে মাইজভাণ্ডারী স্কুলের সাথে থাকুন।
আকাশের রং নীল কেন?
বন্ধুরা আমরা সবাই জানি সূর্যের আলো হচ্ছে সাদা। আবার এই সাদা আলোতে লুকিয়ে রয়েছে সাতটি ভিন্ন ভিন্ন রং। যে রং গুলো কে আমরা বেনিআসহকলা নামে জানি। ছোট বেলা থেকেই কিন্তু অামি কৌতুহল প্রিয় ছিলাম। এক পলাশ বৃষ্টির পরে যখন সূর্য পশ্চিমে থাকে তখন কিন্তু পূর্বদিকে খুব সুন্দর করে রংধনু দেখা যায়। আর আমি কি করতাম জানেন, লাফাতাম এবং সবাইকে রংধনু দেখার জন্য ডাকতাম। যারা আমার মতো কৌতুহল প্রিয় ছিল তারা ঠিকই আমার ডাকে সাড়া দিয়ে আমার নিকট ছুটে আসত, আমার কাঁধে হাত দিয়ে তাদের চোখ জোড়ার দৃষ্টি আকাশের দিকে নিক্ষেপ করত। আমার খুব ভালো লাগত। কিন্তু কিছুক্ষণ পরে খুব কষ্ঠ লাগত,যখন দেখি, কখন যে চোখকে ফাঁকি দিয়ে রংধনুটি গায়েপ হয়ে গেছে। পরে মনমরা হয়ে চলে অাসতাম, কিছুই করার নেই। এরপর আবার হৈ-হুলোড় করে অন্য খেলাই মেতে উঠতাম। এতক্ষন শুধু আমার কাহিনি টা পড়ে গেলেন। কিন্তু আসল ঘটনাটা কোথায়? আজকের আলোচ্য ঘটনা হচ্ছে, আকাশ নীল কেন? আপনারা কি কখনো ভেবে দেখেছেন? আকাশ দেখতে নীল কেন? আমরা আগেই বলেছি সূর্যের আলোতে ৭টি ভিন্ন ভিন্ন রং থাকে [বেগুনি, নীল,আসমানি,সবুজ,হলুদ,কমলা ও লাল।] এই রং গুলোর আবার ভিন্ন ভিন্ন তরঙ্গ দৈর্ঘ্য আছে। তরঙ্গ দৈর্ঘ্য কি সেটা আপতত না জানলেই চলেবে। তো এই সূর্যের আলো যখন পৃথিবীতে আসে তখন সেই আলো বায়ুমন্ডলের সূক্ষ্ম, ছোট ছোট ধূলিকণা এবং বিভিন্ন গ্যাস অনুতে পড়ে,যাকে আমরা পদার্থবিজ্ঞানের ভাষায় আপতিত হওয়া বলি। আপতিত হওয়ার পর আবার সেই আলো ধাক্কা খেয়ে চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে বা বিচ্ছুরিত হয়। বিচ্ছুরণের সময় যে আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য যত বেশি সে আলো সবচেয়ে বেশি বিচ্ছুরিত হওয়ার কথা। কিন্তু বায়ুমন্ডলের ওজোনস্ফিয়ার অঞ্চল সূর্যের বেগুনি আলোর বেশিরভাগ অংশ শোষণ করে নেয়। বেগুনি আলো বাদ দিলে সবচেয়ে কম তরঙ্গদৈর্ঘ্যের আলো হল -নীল। ফলে বায়ুমন্ডলে নীল আলোই সবচেয়ে বেশি বিচ্ছুরিত হয়। তাই দিনের বেলায় আমরা আকাশকে নীল দেখি।
পরবর্তী পোস্ট পেতে লাইক, কমেন্ট এবং শেয়ার করে মাইজভাণ্ডারী স্কুলের সাথে থাকুন।
No comments